সুপ্ত ঈর্ষা
(তানি হক)
বুকের ভেতরের লালিত ঈর্ষা গুলো প্রতিদিন
একটু একটু করে বড় হয়,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইঞ্চি কণা,জমাট বেঁধে হয়ে
যায় নীলাভ হিমবাহ
খণ্ড খণ্ড মেঘ পালক গুলো যোড়া লেগে
হটাত,শুরু হয় পাথর ফোঁটার কষ্ট বৃষ্টি।
আর আমি...সেই সুপ্ত ঈর্ষার চোরা বালিতে
ডুবে যাই
হিমবাহের চোরা খাঁজের পাঁজর তলে আটকে পড়ে
জমে যাই
তবুও পশ্চিমা বাতাসের আঁচল টাকে ঈর্ষার
স্রোতে ভাসিয়ে দেই
আবেগে... অনুযোগে বলি-
ইশ ! তোর মতো এক টুকরো মিষ্টি বাতাস যদি
হতো আমার দেহ!
সোনার মদিনার খেজুর পাতার
জড়িয়ে দিতাম এই তৃষ্ণার্ত ঠোঁটের চুমু !
প্রভুর শনে সেজদায়
লুটিয়ে পরত শরীরের প্রতিটি লোমকূপ!
জায়তুনের মিষ্টি
সুবাসে ধন্য হতো আমার ফেরারী প্রাণ।
আহ ! কতই না
সৌভাগ্য তোর !
এক পলকেই দুলিয়ে
দিস প্রিয় হাবীবের মাতৃভূমির সকল পুষ্প কলি!
আমি ক্ষণে ক্ষণে
ঈর্ষায় মরি! আর দীর্ঘ নিঃশ্বাসের কানে কানে বলি!
ওরে দক্ষিণার পবন! আমি যদি তোর মতো
অপার মুক্ত স্বাধীন হতাম!
হেরা পর্বতের
মৃদু স্পর্শে রিক্ত সিক্ত অভিমানী শোক ভুলত বেদনা!
আরাফার ধুলো ভরা প্রান্তর
ছুঁয়ে দিয়ে হেসে উঠত...
বুকের জমানো এক
ফালি অভিমানী কান্না !
উল্লাসিত প্রাণ ছুঁয়ে দিতো সাফা-মারওয়া ...
ছুঁয়ে দিতো বাইতুল্লাহের
মিনার চুড়া!
এ জীবন হতো
পূর্ণ হতো ওহুদ ময়দানের সোনালী শিশির
গায় মেখে...।
আহ ..আমি যদি
তোর মত এক ঝলক শীতল বাতাস হতাম !
ধন্য হতো আমার
এই বেঁচে থাকা !
তাই তো দিন রাত বুকে বাজে সুপ্ত ঈর্ষার সেই না পাওয়ার
বেদনার বীণ
বাতাসের বেগে
উড়ে যাবো প্রিয় মদিনায় প্রভু!অপেক্ষায় রবো আর কত দিন!
আর কত দিন
কাঁদবে হৃদয়..ঝরবে অশ্রু..দেখতে নবীর পুণ্য চরণ ভূমি,
কেমনে কাটে এই বার্থ
জীবন..শূন্য ভুবন ..এক বার ফিরে দেখো তুমি ...!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মতামত দিন