তুমি
-তানি হক
আশ্চর্য এক প্রদীপ আছে তোমার হাতে
কুয়াশার গাড় আস্তর ভেদ করে যে লণ্ঠন জ্বালাও প্রতিক্ষণ
তার সুপ্ত দীপকে মুমূর্ষু আলোর কণিকাও দপ করে প্রাণ ফিরে পায় ।
ক্ষয়ে যাওয়া পঙক্তি,খসে পড়া দুর্বল মৌনতা
তোমার হাতের উলটো পিঠে সবই যেন চঞ্চল চারুলতা ।
মনে হয় ঘুরন্ত সৌরজগৎ
মুহূর্তে বিষণ্ণতা গ্রাস করে নেয়া এক সুদীপ্ত ব্ল্যাকহোল
তোমার আঁখি দুটি।
যে বুকে কান্নার আড়ত – যে জলে ধূলোর সুরমা ।
সে পথের পাথর পরতেও
অভ্যুদিত সূর্যের পালক ঝরে তোমার স্পর্শে ।
আমি কম্পিত চোখে দেখি
মেঘের পাটাতনে তুমি ঘুমের জলচৌকি নিয়ে বসে আছ ।
ঠোঁটে অন্তর্মাধুর্য উত্তাপ
প্রস্ফুটিত স্বপ্নের বাঁকল ছড়ায়
আমি রঙ পেনসিলে আঁকি সেই যাদুর মোহ ।
বাতাসের কপাট জুড়ে দেখি তোমার মুখ।
আর অস্পষ্ট স্বরে বলি
পৃথিবীর সকল আঁধার জমাট বাঁধুক ।
ধাতব অসুখের উত্তাপ মিশে যাক চন্দ্র গ্রহণে
শুধু তুমি ! প্রিয়তম আমার !
এ হৃদয়ে দুষ্ট মেঘের অনুরণন হয়ে থেকো।